
সজল শিকদার
মেল্কুম ট্রেকিং
মিরেসরাই মেল্কুম ঝর্ণা ভ্রমণ

সকাল , সকাল ঘুম থেকে উঠে পরলাম কাল রাতেই ঠিক করে রেখে ছিলাম আজ সকালে ট্রেকিং এর উদ্যেসে বের হবো । তাই ঘুম থেকে উঠে সাবাভিক কাজ কম্র সেরে নাস্তা না করেই কাধে ব্যেগ নিয়ে রওনা দিলাম ।
বাসা থেকে বের হবার আগে দুই মিনিটের জন্যে একটু চিন্তা করে নিলাম বাসে , যাবো নাকি ট্রেনে যাবো ? হাতের ঘড়িটার দিগে তাকালাম সময় ৭,৩০ মিনিট তার মানে ট্রেন ছারার জন্যে এখনো সময় আছে ৩০ মিনিট । ৮ টায় ট্রেন ছারবে । আমার বাসা থেকে ট্রেন ষ্টেশন পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিট দ্রুত যাবার জন্যে একটা রিক্রাসার সাথে কথা বলছিলাম তার ভারা শুনে আর উঠলাম না রিক্রাসাথে সেখানে সময় চলে গেলো আরো ৫ মিনিট ।
তাই ভাবলাম ট্রেকিং টা এখান থেকেই শুরু করি দ্ররুতো বেগে হাটা সুরু করলাম । আমিও পোঁছালাম ট্রেনো আমার সাথে স্টেশনে পোছালো যাই হোক ট্রেনে উঠে পরলাম ট্রেনের টিকিট ট্রেনের ভেতরে নেয়া যায় তাই আর স্টেশন কাউন্টের থেকে টিকিট নিলাম না । লোকাল ট্রেনের টিকিট ট্রেনের ভিতরেই টিটি থেকে নিদিষ্ট ভারা দিয়ে নেয়া যায় । ট্রেন হুইসেল দিয়ে চট্টগ্রাম ,পাহারতলি স্টেশন থেকে ট্রেন ছেরে দিলো ।
চট্টগ্রাম শহর ছেরে ট্রেন চাদপুরের উদ্যেসে ছেরে দিলো । আমি চাঁদপুর যাবো না আমি যাবো মিরেরসরাই দুইটি স্টেশন পেরোতেই টিটি এসে হাজির । আপনি কি টিকিট নিয়েছেন ? আমি না শব্দ বলাতে সে বল্য ৩৫ টাকা দিন । আমি তাকে ৩৫ টাকা দিয়ে তার থেকে মিরেরস্রাই স্টেশন সিঙ্কিং আস্তানা পযন্ত যাবার টিকিট মুল্য ৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি টিকিট নিলাম ।
এই দিগে শহর পেরিয়ে ট্রেন গ্রামের মদ্যে ঢুকে পরেছে তাই উঁচু , উঁচু পাহার আর বিখ্য রাসির সমাহার চোখের সামনে আসতে লাগলো সিতল বাতাস আর হকারের সুর করে ডাকা চীৎকার বেস উপোভোগ করছিলাম ।

লোকাল ট্রেন তাই ছিট বা আসন পাবার কোন নিশ্চয়তা নেই যে পাবে সে বসবে আর যে পাবে না সে দারিয়ে যাবে । তাই আমি দারিয়ে দারিয়েই পথটা পারি দিচ্ছি । আমার বেস ভালোই লাগছে ভাটিয়ালী গ্রাম পারিয়ে সীতাকুণ্ড পাহাড়ি গ্রাম দেখতে দেখতে পোঁছে গেলাম মিরেরসরাই উপজেলায় কেনো জানিনা স্টেশনে পোঁছানোর একশত কদম আগেই ট্রেনটা থামালো আমি যান্তাম না কাছেই চলে এসেছি । টিটী কে জিজ্ঞাসা করালাম কি ব্যাপার হটাত ট্রেন থামল কেনো ?
উত্তরে সে ব্ল সামনে আরেকটি ট্রেন ইঙ্গিন ফেল করেছে তাই থামানো হয়েছে তিনি আমাকে গিগাসা করলো আমি নামবো কোথায় ? আমি বলাম মিরেরসরাই সিংকিং আস্তানা স্টেশন তিনি আমাকে দরজার কাছে নিয়ে গিয়ে তার হাত দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ঐ যে সিংকিং আস্তানা স্টেশন আপনি নেমে পায়ে হেটে চলে যান । আমি ও দেখলাম খুবই কাছে তাই ট্রেন থেকে নেমে হাঁটা সুরু করলাম ।
রেল লাইনের পথ ছেরে গ্রামের একটি আইল ধরে হেটে , হেটে মহাসড়কে পোছালাম রাস্তার পাশে ছোট একটা টং দোকান দেখে পেটের ভেতর থেকে ডাক আসলো কিছু খেতে হবে তাই ভাবলাম হাল্কা কিছু খাবার না খেলে আর হচ্ছে না । দোকান থেকে দুইটি বন আর একটি কলা কিনে খেলাম বন আর কলা মিলে ২৫ টাকা দাম পরিশোধ করে লেগুনাতে উঠে পরলাম গন্তব্য আরসি নগর । গারিতে বসে মোবাইল বেজে উঠলো ফোন পকেট থেকে বের করে দেখি মায়ে কল । মায়ের সাথে কথা বলতে , বলতে গারি কখনযে আরসি নগর পারিয়ে যোরারগঞ বাজারে নিয়ে আসলো বুঝতে পারলাম না । পাসের একজনকে জিজ্ঞাস করাতে সেই বললো আরসিনগর ফেলে চলে আসেছি । কি আর করার গারি থেকে নেমে পরলাম চালোক ভারা কতো জিগাস করাতে সে বল্য ২০ টাকা । যদিও আরসি নগর নামলে ভারা হতো ১০ টাকা কিন্তু কি আর করার ভুলতো আমারি ।

মহাসড়কের পাসে দারালাম আবার আরসি নগর যাবার জন্যে । এই দিগে আবার জন্যে আগে থেকেই আপেখ্যা করে আছে যাদের সাথে ঝনা ধেখতে যাব তারা বার বার মোবাইলে ক্ল করে যান্তে চাইছে আমি আখন কোথায় আছি ।
সড়কের পাসে আনেখন দারিয়ে আছি কিন্তু গারি আসতে কিন্তু আমার কাছে আসার আগেই ডানে একটি ছোটো পথে গারি চলে যাচ্ছে । অথোচ এই সড়কে গারি চলে প্রতি মিনিটে । সে বিরক্ত হয়ে একজন অটো চালককে জিগাসা করলাম ভাই গারি আসছে না কেন ? চালক উত্তর দিলো গারি গলির ভেতরের পথ ধরে বাজারের মধ্যে দিয়ে আরসি নগর যায় । তখন বুঝতে পারলাম গেরি কেন এই দিকে আসে না । এবার জোরারগজ্ঞ বাজারে ঠুকলাম গ্রামের বাজার কি নেই বিশেষ করে দেশি ফলের অনেক সমাহার ।
যাবার পথে যতটুকূ দেখতে পারা যায় । সামনে যেতেই অটো গারি উঠে পরলাম ১৫ মিনিট পর নামিয়ে দিলো আরসি নগর । সেখানে আমার জন্যে অপেখ্যা ক্রে আছে আমার বন্ধু । তাকে সাথে টং দোকানে চা খেলাম । তার পর দুইজনে মিলে হাঁটা শুরু করলাম । ঢাকা চট্টগ্রাম রেল লাইন পার হয়ে পাহাড়ি আকা বাঁকা পথ ধরে মেল্কুম ট্রেকিং সুরু করে দিলাম । কিছু দূর যাবার পরে বন্ধুর কাছে সুনলাম আমাদের জন্যে আরও দুই জন অপেখ্যা করছে তারা দুইজনি ওই স্থানের বাসিন্দ্যা । তারা মুলত আমার বন্ধুর পরিচিত আমিও তাদের সাথে প্রাথমিক পরিচয় পব্র সেরে নিলাম । তাদের সাথে হাটতে , হাটতে কথা বলা মাঝে মাঝে তাদের ক্ষেতের বাগান থেকে ডুমুর ফল গাছ থেকে পেরে খওয়া আর বন জঙ্গেগলের দিয়ে খালি পায়ে হেটে চলা ।

আমি যেদিন গিয়ে ছিলাম মুলত সেই দিন ছিলো কম্র দিবস তাই অন্য পযটক কেউ ছিলো না । চার পাশটা ছিলো শান্ত নিরিবিলি । গরমের দিন থাকায় খানিক পর , পর বেস পানির পিপাসা পাচ্ছিলো আমার সাথে পানি থাকায় পানি পান করলাম ।এখানে ভ্রমণে আসার পুব্রে শুনে ছিলাম ট্র্যাকিং এর পথে বুক পযন্ত পানি থাকে তাই ব্যেগে করে দরি , ছুরি , ও টচ লাইট নিয়ে এসেছি । যাই হোক তার আর প্রয়োজন পড়েনি । তবে পানি বুক সমান না হলেও কোমর পযন্ত ছিলো । যাবার প্রথমেই পাহাড়ি ছড়া ধরে হাঁটতে থাকি পায়ের নিচে নরম বালি আর সচ্ছ পানির ধারা প্রবাহমান হাটতে বেশ ভালোই লাগছে সচ্ছ পানিতে ছোট , ছোট পোনা মাছ ছোটা- ছুটি দেখতে ভালোই লাগছে । চলার পথে আমাদের স্থানিয় গাইট ডুমুর গাছের ফল গাছ থেকে পেরে খাওয়ালো । আমি শহরে বড়ো হয়েছি তাই ডুমুর ফল কখনো খওয়া হয়নি এই প্রথম পাকা ডুমুর ফল খেলাম স্বাদটা ঘ্রান অনেটা স্ট্রেবেরি ফ্লের মতো । আমার কাছে বেস মজাই লাগলো ।
